নিয়োগ টিপ্স


ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
                                       এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা

সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি।


ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।

বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি

আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।

বাংলা

জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার

এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

ইংরেজি

প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।

গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান

বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।

বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি

পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

ইসলামী জ্ঞান

ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।

মৌখিক পরীক্ষা

রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।

সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা

ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।

ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।


সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে বছরজুড়েই চলে নিয়োগ কার্যক্রম। বেশ কিছু ব্যাংকে বিভিন্ন পদে এখনো চলছে নিয়োগ কার্যক্রম। আসছে আরো কিছু বিজ্ঞপ্তি। ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতি অন্য যেকোনো চাকরি থেকে একটু আলাদা। তবে একসঙ্গেই হতে পারে সব ব্যাংকের নিয়োগ প্রস্তুতি। লিখেছেন আরাফাত শাহরিয়ার   
৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০


এক প্রস্তুতিতে অনেক পরীক্ষা এক প্রস্তুতিতে প্রায় সব ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া যায়। ছবি : নাভিদ ইশতিয়াক তরু
ভালো অর্থকড়ি ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় অনেকেরই প্রথম পছন্দ ব্যাংকিং। আর এ কারণেই ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় তুমুল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিভিন্ন ব্যাংকের পরীক্ষা পদ্ধতি, বিষয় ও নম্বর বণ্টনে ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই হয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার ধরন প্রায় একই রকম। বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন একটু আলাদা, প্রশ্নও হয় তুলনামূলক কঠিন। সাধারণত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)।

পরীক্ষা পদ্ধতি
আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের বর্তমান প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান রাকিব জানান, বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। এর মধ্যে এমসিকিউ অংশে থাকে সাধারণত ৬০ থেকে ৮৫ নম্বর এবং ১৫ থেকে ২৫ নম্বর থাকে লিখিত পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকে সাধারণত এমসিকিউ ও লিখিত মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০০ থেকে ২০০ নম্বরের। এমসিকিউ অংশে প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন পদ্ধতি একটু আলাদা। সেখানে এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন থাকে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষার সময় থাকে এক থেকে তিন ঘণ্টা।
বাংলা
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার
এমরান হোসেন জানান, সাধারণত ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি বিচ্ছেদ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বচন, লিঙ্গ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন করা হয়। অনুবাদ ও অনুচ্ছেদও থাকে অনেক ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায়। সাহিত্য অংশে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, সাহিত্যের কাল, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজি
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synonym, antonym প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বিখ্যাত চরিত্র ও উক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে গণিত বিশেষ গুরুত্ব পায়। সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। তাই নিতে হবে জোর প্রস্তুতি।
গণিত অংশে ভালো করতে শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ ও একক, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত ও পরিমিতি, লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল থেকে প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতি থেকেও প্রশ্ন আসে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে।
সাধারণ জ্ঞান
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, সীমারেখা, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনীতি, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রশ্ন আসে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব রাজনীতি, সীমারেখা, অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। দুটো অংশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে। দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, মানবদেহ, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, ভূগোল, কম্পিউটারের ইতিহাস ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
ইসলামী জ্ঞান
ইসলামী শরিয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামী জ্ঞানবিষয়ক। বিশেষ করে আকাইদ, শরিয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল ও সাহাবিদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন, হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা
রফিকুল হাসান রাকিব জানান, ভাইভায় নম্বর না-ও থাকতে পারে। কিন্তু ভাইবা বোর্ডেই প্রার্থীকে নেওয়া হবে কি না চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ত্যাহনিয়াত আহমেদ করিম জানান, মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর উপস্থাপন ক্ষমতা, যোগাযোগ দক্ষতা, কনফিডেন্স লেভেল, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আচরণ, উচ্চারণ, স্মার্টনেস দেখা হয়। ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে মার্জিত পোশাক পরে। টাই পরে যাওয়াটাই রীতি। কথা বলতে হবে সুন্দর উচ্চারণে, প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
সহায়ক বই ও পত্রপত্রিকা
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যেমন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট নিউজ পড়তে হবে।
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে বিষয়ভিত্তিক বই পাওয়া যায়। বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসংবলিত বই পাওয়া যায় বাজারে। এসব বইও প্রস্তুতিতে বেশ সহায়ক। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির জন্য অফিশিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/a2z/2014/12/08/160157#sthash.YHRwmNMg.dpuf
 -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বিসিএস এবং অন্যান্য সরকারী চাকুরির ভাইভা প্রস্তুতি

প্রথমেই বন্দনা করি ড্রেস মেকাপের নামঃ এটা বেশ ইম্পোরটেন্ট। ভাগিনারা ভাইভা পরীক্ষার পাঁচ-সাত দিন আগেই মাথার চুল কাটা চাই। কাটতে মন না চাইলে আমার কাছে আসবেন আমি কাঁচি দিয়ে কেটে দেব ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে। এক্সামের দিনে সক্কাল বেলায় শেইভ মাস্ট। এটা অবশ্য আমি করিয়ে দেব না। ভাইভার সময় শীত শীত ভাব থাকলে ভাল দেখে কাটানো স্যূটেড বূটেড হয়ে যাবেন। টাই গলায় ফাসানো চাই। রংচঙ্গা না হওয়া বাঞ্চনীয়। গরম থাকলে শার্টের সাথে টাই হলেই চলবে। জুতা বেল্ট ঘড়ি জুতসই চকচকে হলেই চলবে।
ভাগ্নী-ভাতিজিরা শাড়ি বা অন্য কোন রুচিশীল পোশাক পড়লেই চলবে। মেকাপ, গয়না-গাট্টি কম হলেই ভাল। এত কিছু বলার উদ্দেশ্য ইউ মাস্ট ফিল ইজি, কম্ফোর্টেবল এন্ড কনফিডেন্ট অ্যাট দ্যাট ডে। এই পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিনে যত কম সিরিয়াস হওয়া যায় ততই ভাল। উসাইন বোল্টকে দেখেছেন না, দৌড় শুরু হওয়ার আগে, কানের মধ্যে হেডফোন দিয়ে হিপহফ মিউজিক শোনে। রিল্যাক্স।

প্রিপারেশনঃ

একটা খাটি সত্য কথা বলি। প্রিলি রিটেন এ প্রশ্ন কমন পড়ুক আর না পড়ুক ভাইভাতে কিন্তু পড়ে। আপ্নের খালি চোখ কান নাক মুখ খোলা রাখতে হবে। কমন না পড়লেও কোন সমস্যা নেই।

সাধারণ জ্ঞানঃ

স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বংগবন্ধু, ৬ দফা, সাতই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭০ এর পর থেকে ৭৫ পর্যন্ত সকল সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যদের নাম ঝাড়া মুখস্ত। দাড়ি কমা সহ। রেগুলার পেপারতো পড়তেই থাকবেন। বেশী ইম্পোর্টেন্ট ইন্সিডেন্টগুলো পারলে নোটবুকে লিখে রাখবেন। পরীক্ষার দিনের বাংলা আরবির দিন তারিখ মনে রাখবেন। সেদিনের পত্রিকার হেডলাইনগুলো দেখে নেবেন। বাংলাদেশের সাথে বেশী রিলেটেড দেশ, আন্তর্জাতিক সংগঠঙ্গুলোর নাড়ি-ভূড়ি উল্টিয়ে পালটিয়ে দেখে রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রথম পছন্দ আপনার ভাইভার গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারে। এ বিষয়ের খুটিনাটি, অর্গানোগ্রাম,কাজ-কাম, সুবিধা,ঝুটঝামেলা জানার চেষ্টা শেষদিন পর্যন্ত করবেন। তবে চেষ্টা থাকবে যাতে আপনার গতিপথ যাতে আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এমন উত্তর দিবেন যাতে প্রশ্নকর্তা আপনার জ্ঞানের অধিক্ষেত্রের মধ্যেই চলে আসে। রিটেন প্রিলিতে পড়া বিষয়গুলো আবার একটু দেখে নিতে পারেন। ম্যাপ-মানচিত্র নিয়ে একটু মাথা খাটাবেন।

নো দাইসেলফ?:

আপনার প্রথম পছন্দ কেন আপনার প্রথম পছন্দ? অমুক বিষয় পড়ে, ঝমুক চাকুরি ছেড়ে, তমুক চাকুরী ক্যান করতে চান? মনে হয় ঘুষ খাইতে চান? আপনার জেলার, উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের, হলের ইতিহাস, ইতিহাস বিখ্যাত কুখ্যাত ভালমানুষ মন্দমানুষ নিয়ে একটা ধারণা রাখেন। কাজে লাগবে। আপনি যে বিষয়ে আন্ডারগ্র্যাড, গ্র্যাড করেছেন সে বিষয়ের বেসিক টপিকগুলো আবার একটু দেখে নিন না। আপনার নামের অর্থ কি, এই নামে বিখ্যাত কে ছিলেন কে আছেন, কে কে আসবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। সর্বশেষ কোন বইটি পড়েছেন, ঘটনা কি? তবে বইমার্কা উত্তর না দিয়ে নিজের মত করে ডিফারেন্ট ভদ্রগোছের একটা উত্তর এসব প্রশ্নে বেশি গ্রহণযোগ্য।

ইংরেজিঃ

আমার মাইক্রোবায়লজি বিভাগের প্রিয় ছোটভাই অহন একদিন বলেছে, বাংলাদেশ হইল মজার এক জায়গা। এইখানে আর কিছু না জেনে শুধুমাত্র ইংরেজী ভাল জানলেই ভাল ক্যারিয়ার নিশ্চিত। কথাটা বেশ খাসা। দুবার শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলাম, দেখি মুদি দোকানদার, সবজিওয়ালা যেই পটাস পটাস ইংরেজী বলে তা শুনলে আমাদের অনেক ডাকসাইটে বড়কর্তারাও লজ্জাই পাবেন। তাই বলছি, বাংলাদেশে ভাল ক্যারিয়ারের জন্য স্ট্যন্ডার্ড ইংরেজী জানা মাস্ট না হলেও এটা আপনাকে সবজায়গায় আনফেয়ার এমাউন্ট অফ এডভান্টেজ এনে দেবে । ভাল ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারলে ইউ আর অল্রেডি ফিফটি পার্সেন্ট এহেড। এই ধরেণ বিসিএস ভাইভায় সুযোগ বুঝে ঠাস ঠাস করে কিছু ইংরেজী ঝেড়ে দিলেই ভাইভাওয়ালারা মনে করবেন, এই পোলা ব্যাপক ইস্মার্ট, জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখায় মনে হয় তার বিরাট দক্ষতা। এটা আমাদের কলোনিয়াল সেন্টিমেন্ট বা যে কারণেই হোক না কেন, আসল ব্যাপার হচ্ছে সিংহ ভাগ পরীক্ষার্থীরা এটা পারে না। যে পারে সে অযথায় আনফেয়ার এডভান্টেজ পায়!! (আগের লেখার কপি)
এক্ষেত্রে আমার আপনার উচিৎ মোটামুটি ইংরেজি বলতে পারা। মওকা পেলেই ঝেড়ে দেয়া। তয় যারা না পারেন তাদের অত হা-পিত্যেশ করার কিছু নেই। ভাব মারার জন্য বলছি না, যারা চাকুরিটা পেয়েছেন তাদের অনেকেই সেটা পারেন না। ভাইভার জন্য যে কয়দিন সময় আছে সেকয়দিনে চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় চলনসই ইংরেজি শেখা যাবে। ডেস্ক্রাইব ইয়োরসেলফ, ডেস্ক্রাইব ইয়োর ইডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড, হোয়াই — ইজ ইয়র ফার্স্ট চয়েস? হোয়াট ইউ উইল ডূ ইন দ্যাট – সিচুয়েশন, টেল মি এবাউট ইয়োর ডিস্ট্রিক্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো মোটামুটি ঝড়ঝড়ে হয়ে যাবেন। বাকিবিষয়গুলো যতদূর আগানো যায়।

কি বই পড়বেনঃ

পেপার পত্রিকা, কারেন্ট এফেয়ার্স টাইপের কোন কিছু, বাজারে ভাইভার জন্য প্রচলিত যা কোন জনপ্রিয় বই । ক্যাডার ফার্স্ট চয়েস ভিত্তিক বই। ভাইভা শুরু হলে দেখবেন নীলখেতে গত অমুক থেকে তমুক দিন পর্যন্ত ভাইভার প্রশ্নোত্তর সম্বলিত চটি টাইপের বই পাওয়া যায়। সেটা থেকে বেশ কমন পড়ে!! বংগবন্ধুর ভাল কোন জীবনীবই, স্বাধীনতার ডিটেইলস কোন বই ইত্যাদি ইতাদি ইত্যাদি।

কোচিং?

হ করলে করতে পারেন। তয় আমি করি নাই। এইটা নাকি কনফিডেন্স বাড়ায়। বাড়ালে করা যায়। কোনটা ভাল কোনটা মন্দ ইতরবিশেষ জানা নাই।

ভাইভার সময়ঃ

এতক্ষণ যা বললাম সব অবান্তর কথা। এবার কাজের কথায় আসি। ভাইভা জিনিসটা আসলেই ভাইবাই দিতে হয়। ওই সময়টা মাথা পরিষ্কার থাকা জরুরী। আগেরদিন ৭-৮ঘন্টা ঘুম। একঘন্টা আগেই জায়গামত পৌছানো। টেনশন জিনিসটা একদম মাথা থেকে দূরে। সব পারতে হবে এ কথা যে বলবে তাকে মাইর। অত পারাপারির দরকার নাই। মোটামুটি পারলেই হল।
কনফিডেন্স, এপ্রোচ এটিচ্যুড হল আসল ব্যাপার। কি কতটুকু পারলেন সেটা দিনশেষে নিতান্তই গৌণ। একেক বোর্ড একেক জিনিস চায়। কে কি চায় কে জানে? আপনার কাজ আপনি করবেন। না পারলে বলবেন সরি, স্যার জানা নেই/মনে নেই ।
অনুমতি নিলেন। ঢুকলেন। সালাম দিলেম। বসতে বললে বসলেন। প্রমিত ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করবেন। ট্যারা চক্ষে তাকানোর দরকার নাই, ঘাড় নিচু করে ভদ্রতা দেখানোর দরকার নাই। ভাইবা বোর্ডের সাথে চার চক্ষুর মিলন ঘটাবেন । এক সাথে দু তিনজন প্রশ্ন করলে, যে প্রশ্ন আগে করবে তাকে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে উত্তর দিবেন। যার প্রশ্নের উত্তর দিবেন তার চোখে তাকাবেন। যাদের অন্যের চোখের দিকে তাকাতে লজ্জা লাগে তারা গার্লফ্রেণ্ড/বয়ফ্রেণ্ডের/বউ/স্বামীদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে প্রাক্টিস করেন! এয় কয়দিনে তারাও খুশি হবে! বৈষম্য না করে বোর্ডে সবাইকে স্যার বলুন। উত্তরের শুরুতে একবার স্যার বলুন শেষে একবার বলুন। মুখ কালো করে রাখবেন না। হাসি হাসি ভাব না ধরে রাখতে পারলেও নরমাল থাকার চেষ্টা করবেন। অনেক বোর্ডে গা জ্বালানো বিরক্তিকর প্রশ্ন হতে পারে। মনে রাখবেন এটাও পরীক্ষার অংশ। বি ইজি। এক্সাম শেষে ভাগতে বললে সালাম দিয়ে লেজ গুটিয়ে চলে আসবেন। আসসালামুয়ালাইকুম।

নিজ অভিজ্ঞতাঃ (৩০ তম বিসিএস) পুরোটা মনে নেই, যা মনে আছে তাই লিখলাম।

মিঃ সালাম , মে আই কাম ইন স্যার?
বোঃ ওয়া’লাম। ইয়েস, কাম ই্ন সিট ডাউন। আর ইউ মিঃ তৌহিদ এলাহী? হোয়াট ডাজ ইট মিন?
মিঃ থ্যাঙ্ক উ স্যার, ইট মিন্স সোলনেস অফ গড।
বোঃ হোয়ার ডিড ইউ স্টাডি ? সাব্জেক্ট? হ্যাভ ইউ কমপ্লিটেড ইয়োর মাস্টার্স? রেজাল্ট? ( এপিয়ার্ড ছিলাম)
মিঃ স্যার, ইয়েস স্যার, আই হ্যাভ কমপ্লিটেড বোথ মাই হন্স এন্ড এমএস ফ্রম ডিপ্ট অফ মাইক্রোবায়ালজি, ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা। স্যার, আই হ্যাভ গট ফার্স্ট ক্লাস বোথ ইন হন্স এন্ড এম এস। রিসেন্টলি আই হ্যাভ এন্টার্ড ইন্টু মাই সেকেন্ড মাস্টার্স ইন আইবিএ, ডি ইউ।
বোর্ডঃ সাম অফ মাই নোন পিপল ফ্রম আইবিএ আর ওয়ারকিং ইন ভ্যারিয়াস এমএনসিস ইন ভেরি গুড পজিশন্স । হুহাই ডু ইউ ওয়ান্ট টু কাম ইন পাব্লিক সার্ভিস?
মিঃ ……।। (চাপাবাজির ইমো। চাপাবাজি খুব ভাল হইছে, আই ওয়াজ প্রিটি শিউর)
বোঃ হোয়াট ডু ইউ ডু নাউ?
মিঃ আই এম ওয়ারকিং এজ আ মাইক্রোবায়লজিস্ট ইন জীবন ড্রিঙ্কিং ওয়াটার অফ সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আই এম অলসো আ ফ্রিল্যান্স রাইটার এন্ড কন্ট্রিবিউটর ফর সাম অফ দ্যা ডেইলিজ লাইক কালের কন্ঠ, সমকাল এটসে।
বোঃ হোয়াট ইজ দ্যা প্রস্পেক্ট অফ ওয়াটার রিসোর্স অফ আউয়ার কান্ট্রি?
মিঃ …।।( হাবি জাবি একটা কিছু বলছি,)
বোঃ আই সি ইয়োর ফার্স্ট চয়েস ইজ ফরেন এফেয়ার্স, বাট ইফ উ গেট ইয়োর সেকেন্ড চয়েস , ঊড উ এপেয়ার এহগেইন ইন বিসিএস?
মিঃ নো স্যার। মাই ফার্স্ট থ্রি চয়েসেস ফরেন, এডমিন, পুলিশ আর সিম্পলি ওকে ফর মি। ইফ আই গেট ওয়ান অফ দোজ থ্রি, আই উইল বি ভেরি হ্যাপী।
বোঃ লাহোর প্রস্তাব কত সালে ? ছয়দফা কত সালে ? দফাগুলো কি কি?
উত্তরঃ … পেরেছি
বোঃ ২৫ শে মার্চ থেকে ৩০ শে মার্চ ঘটনাগুলো নিজের ভাষায় বল।
ঊঃ …( বলেছি। ২৭ তারিখ পর্যন্ত বলার পর শেষ। উনারা আসলে জানতে চেয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষণা, কে কার কাছে, কিভাবে কখন দিয়েছেন)
বোঃ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাজীবন, কোথায় কখন পড়েছেন, থেকেছেন, হলের নাম ইত্যাদি বল?
ঊঃ (পেরেছি)
এরপর আমার দৈন্য দশা শুরু । পরপর পাচটা-সাতটা প্রশ্ন ধরেছে ফরেন এফেয়ার্স থেকে। ইংরেজীতে। সাধারণ জ্ঞান আমার আগেও ছিল না এখনো তেমন নেই। আমি নিজেও একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম, তবে সেটা জোর করে চেপে গেছি। চেয়ারম্যান লিয়াকত আলি খান স্যার(বড়ভাল মানুষ) হতাশ হয়ে বললেন, মিঃ তৌহিদ , সিন্স উ ওয়ান্ট টু বি আ ডিপ্লোমেট উ শুড হ্যাভটু আন্সার অল দেস ইজি কোশ্চেন্স।
মিঃ স্যার আই শ্যাল লার্ন এভরিথিং ফ্রম মাই ট্রেনিং ইফ আই গেট আনি অপরচুনিটি।
বোঃ রিয়েলি। অকে । লেটস গেস ইউ আর আ ডিপ্লোমেট, আন্ড উই আর থ্রি ডেলীগেটস ফ্রম ফরেন, হোয়াট শ্যাল ইউ টেল ইফ ইউ ওয়ান্ট টু এক্সপোর্ট ইউর ম্যানপাওয়ার?
মিঃ ( মনের মাধুরী মিশিয়ে কিছু কথা বললাম)
বোঃ থাঙ্কস। তুমি এখন আসতে পার।
মিঃ থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ স্যার। সালাম।

No comments:

Post a Comment